নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩| অনলাই
মায়ানমারের সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে ট্রলার চলাচল দুই দিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) পুনরায় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে জরুরি খাদ্যপণ্য ও যাত্রী নিয়ে ট্রলার চলাচল শুরু হলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা স্বস্তি প্রকাশ করেন।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে তিনটি ট্রলার রওনা দেয়। এসব ট্রলারে খাদ্যসামগ্রী, গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় পণ্য এবং বেশ কয়েকজন যাত্রী দ্বীপে ফেরেন।
আরো পড়ুন
ট্রলারের লোকজন জানান, নাফ নদীর মায়ানমার সীমানা এড়িয়ে বঙ্গোপসাগরের ঘোলারচর দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীর দ্বীপ পৌঁছাতে ৫০ মিনিট সময় দরকার। সাগরের এ পথটি অধিকতর নিরাপদ বলেও জানান তারা।
ট্রলারের লোকজন জানান, নাফ নদীর মায়ানমার সীমানা এড়িয়ে বঙ্গোপসাগরের ঘোলারচর দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীর দ্বীপ পৌঁছাতে ৫০ মিনিট সময় দরকার। সাগরের এ পথটি অধিকতর নিরাপদ বলেও জানান তারা।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা জানান, টানা দুই দিন ট্রলার বন্ধ থাকায় দ্বীপে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। বিশেষ করে শুকনো খাবার, তাজা সবজি, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের ভোগান্তি বেড়ে গিয়েছিল। তবে ট্রলার চলাচল শুরু হওয়ায় তারা কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন,
‘বৃহস্পতিবার থেকে পণ্য ও স্থানীয় যাত্রী নিয়ে ট্রলার সেন্টমার্টিনে আসছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে ট্রলার চলাচল বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপ পুরোপুরি দখল নিয়েছে বলে জানা গেছে। এ পরিস্থিতিতে গত ৮ ডিসেম্বর সকাল থেকে নাফ নদীর সীমান্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নৌযান চলাচল না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
0 Comments