ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলি সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু,
বৃহস্পতিবার এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এটিই পশ্চিমা গণতন্ত্রের আদলে তৈরি কোনো দেশের নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রথম ঘটনা।
আইসিসি বলছে, “ক্ষুধাকে ব্যবহার করে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য এই দুইজনকে দায়ী করার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে।”
“দুইজনের প্রত্যেকের অন্যদের সাথে মিলে যৌথভাবে সহ-অপরাধী হিসেবে নিম্নলিখিত অপরাধের জন্য ফৌজদারি দায়বদ্ধতা রয়েছে: যুদ্ধের পদ্ধতি হিসাবে ক্ষুধার ব্যবহার এবং হত্যা, নিপীড়ন এবং অন্যান্য অমানবিক কাজের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন।”
তবে আন্তর্জাতিক আদালতের এই পদক্ষেপকে “ইহুদিবিদ্বেষী” বলে মন্তব্য করেছেন মি. নেতানিয়াহু।
একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘মিথ্যা’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যানও করেন তিনি।
দাবি করেন, গত বছর সাতই অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার জবাবেই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশটি।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, “আইসিসি ইহুদি রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে চায় আর ইহুদিবিদ্বেষী এই পদক্ষেপ নেয়াই হয়েছে আমাদের ধ্বংস করতে উদ্যত শত্রুদের বিরুদ্ধে আমার এবং আমাদের আত্মরক্ষার স্বাভাবিক অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখতে এবং বাধা দিতে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়াও হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
যদিও গত জুলাইয়ে তাদের এক বিমান হামলায় মি. দেইফের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছিল ইসরায়েল। তবে হামাস আজও এই তথ্য নিশ্চিত করেনি।
0 Comments